Health and Beauty

Sunday, June 1, 2025

যে স্কিনকেয়ার সত্যিই কাজে আসে


 আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা দেখি প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে রুপচর্চার নানা খুঁটিনাটি বিষয়। আজ এক টোটকা তো কাল আরেক টোটকা। এই সবগুলোই যে কাজের তা কিন্তু নয়। তবে কিছু পদ্ধতি আসলেই আছে, যা তাৎক্ষণিক ত্বকের সৌন্দর্য  বাড়াতে এবং বয়সের লক্ষণগুলো দূর করতে সাহায্য করে। স্কিনকেয়ারে সত্যিই কাজ করে এমন কিছু টোটকা আজকে শেয়ার করব ।

১ । পোরস বা ছিদ্র লুকাতে বরফের ব্যবহারঃ
একটি বরফের টুকরো ব্যাবহারে মুখের পোরস বা ছিদ্রগুলো ছোট হয় এবং লালচে ভাব কমে যায়। এটি ক্লান্ত ত্বককে সতেজ করার একটি দ্রুত সমাধান।


২ ।  ত্বকের আর্দ্রতায় মধুঃ
মধু অনেক বেশি সেনসেটিভ যা ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে মোলায়েম করে। প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা পেতে এর সামান্য  ব্যাবহারই যথেষ্ট।


৩ । ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরাঃ
জ্বালাপোড়া বা প্রদাহযুক্ত ত্বককে প্রশমিত করতে খাঁটি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ঠাণ্ডা নির্যাস অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।


৪ । চোখের ফোলা ভাব কমাতে গ্রিন টি আইস কিউবঃ
চোখের ফোলাভাব কমাতে গ্রিন টির জুরি নাই । গ্রিন টি মিশ্রিত বরফের কিউব চোখের চারপাশে আলতো করে ঘষলে ফোলাভাব কম হয়।


৫ । ঘরে তৈরি ওটমিল দিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি ও ব্যবহারঃ
ঘরে থাকা ওটমিলের সঙ্গে মধু এবং দই মিশিয়ে মাস্ক তৈরি হয়। এটি সবচেয়ে সংবেদনশীল ত্বককেও কোমল এবং মসৃণ করে।


৬ । ফেসিয়াল মিস্ট হিসেবে গোলাপ জলের ব্যবহারঃ
এই গরমে ত্বকের যত্নে সবাই খুবই চিন্তিত । গরমের সময় ত্বককে আর্দ্র এবং হালকা সুগন্ধযুক্ত রাখতে সারা দিন গোলাপ জল স্প্রে করা যেতে পারে। এটি ত্বককে সতেজ করে তোলে এবং মনোবলকে আরও বাড়িয়ে তোলে।


৭ । ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে টমেটোর রস যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
উজ্জ্বল ত্বক কে না চায় ! টমেটোর রস ত্বকের কালো দাগ কমাতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে ত্বকে সাহায্য করে। টমেটোর রসে প্রাকৃতিক অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে মৃদু এক্সফোলিয়েশন দেয়। তবে টমেটোর রসে যদি অ্যালার্জি থাকে, তবে এই হ্যাক আপনার জন্য নয়।


৮ । মুখের ত্বক টানটান করতে ডিমের ব্যভারঃ
পুষ্টিগুনে ভরপুর ডিমের সাদা অংশ মুখ মাস্ক হিসেবে  ব্যবহার করলে পোরস ছোট হবে, ত্বক হবে টানটান ।


৯ । অতি ক্লান্ত চোখের জন্য শসার টুকরোঃ
চোখের আরামে, ফোলাভাব কমাতে ঠান্ডা শসার টুকরোগুলো তাৎক্ষণিক রিলিফ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।


১০ । মুখের ব্রনের দাগ দূর করতে আলুর রসঃ
আলুর রস ব্রনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিক অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে মৃদু এক্সফোলিয়েশন দেয় এবং দাগ হালকা করে।



সবাই ভালো ও সুস্থ্য থাকবেন।

Sunday, May 25, 2025

কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ



আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। আর খাসি ও বকরির চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে ২ টাকা করে।

রোববার (২৫ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা জানান, ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে কাঁচা চামড়ার চাহিদা না থাকলে প্রয়োজনে চামড়া রপ্তানি করা যাবে। চামড়া রপ্তানি সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ ছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে সরকার।

তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছর ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে মাদ্রাসা  ও এতিমখানায় সরবরাহ করা হবে।

বিরল নবজাতকদের জেনেটিক রোগ শনাক্তে নতুন রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবন


জেনেটিক রোগ আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্তে,  বিজ্ঞানীরা একটি নতুন রক্তভিত্তিক পরীক্ষা (ব্লাড টেস্ট) (Blood Test) তৈরি করেছেন। গবেষকদের দাবি, এই পরীক্ষার মাধ্যমে আগের তুলনায় অনেক দ্রুত অর্থাৎ মাত্র তিন দিনেই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে চিকিৎসা শুরু করার পথকে সহজ করে তুলবে।

সাধারণত, সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic fibrosis) থেকে শুরু করে মাইটোকন্ড্রিয়া-সম্পর্কিত (শরীরের কোষে শক্তি উৎপাদনের কেন্দ্র) নানা বিরল জেনেটিক রোগ শনাক্তে জিন পরীক্ষার (জেনোমিক টেস্টিং) (Genomic testing) ওপর নির্ভর করা হয়। কিন্তু এসব পরীক্ষায় প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রেই সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হয় না।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ডেভিড স্ট্রাউড জানান, অনেক সময় জেনেটিক পরীক্ষায় রোগ নির্ণয় না হলে রোগীকে বছরের পর বছর নানা পরীক্ষা করাতে হয়, যাকে আমরা বলি ‘ডায়াগনস্টিক ওডিসি’(diagnostic odyssey) এক কঠিন ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এমনকি কিছু পরীক্ষায় শিশুদের শরীর থেকে পেশির নমুনা নিতে হয়, যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষকরা রোগীর রক্ত থেকে বিশেষ ধরণের কোষ নিয়ে তাতে থাকা হাজারো প্রোটিন বিশ্লেষণ করেছেন এবং তা সুস্থ মানুষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ, প্রতিটি জিনই প্রোটিন তৈরির নির্দেশনা বহন করে। ফলে, কোন জিনের পরিবর্তনে ক্ষতিকর প্রোটিন তৈরি হচ্ছে আর কোনটা নিরীহ, তা চিহ্নিত করা সহজ হয়।

এই পদ্ধতিকে বলে প্রোটিওমিক বিশ্লেষণ (Proteomics)। এটি একবারেই বহু জিনগত পরিবর্তনের প্রভাব একত্রে বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এতে ফল মিলতে সময় লাগে মাত্র কয়েক দিন।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই পদ্ধতিটি প্রচলিত টেস্টগুলোর চেয়েও ভালোভাবে মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ শনাক্ত করতে পারে। এমন রোগগুলোর ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর যেখানে জিনগত পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।

অন্য গবেষক অধ্যাপক ডেভিড থরবার্ন জানান, জেনেটিক টেস্টে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। আমরা মনে করি, প্রোটিওমিক টেস্ট যোগ করলে তা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। এই পরীক্ষায় মাত্র ১ মিলিলিটার রক্ত নিলেই চলে। যেখানে আগে বায়োপসি প্রয়োজন হতো, এখন সেখানে সামান্য রক্তেই হবে কাজ। এতে খরচও তুলনামূলকভাবে কম এবং একাধিক রোগ শনাক্তের সুযোগ থাকায় বাড়তি পরীক্ষারও দরকার হয় না।

গবেষণায় অংশ না নিলেও, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইটোকন্ড্রিয়াল জেনেটিকসের অধ্যাপক মিশাল মিনচুক বলেন, এই গবেষণা বিরল রোগ শনাক্তে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে রোগী ও চিকিৎসা ব্যবস্থার দু’পক্ষেরই উপকার হবে।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (UCL) নিউরোলজির অধ্যাপক রবার্ট পিটসিথলি বলেন, এখন প্রয়োজন আরও বিস্তৃত পরীক্ষা এবং যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় (NHS) এই প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা। এই নতুন পদ্ধতি শুধুমাত্র রোগ শনাক্তেই সহায়ক নয়, বরং ভবিষ্যতে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের জন্য দিকনির্দেশনা দিতে পারে। কারণ এটি প্রি-ন্যাটাল জেনেটিক টেস্টের সুযোগও সৃষ্টি করে। 

সূত্র : গার্ডিয়ান ।

Thursday, July 27, 2023

কেন রক্তে লবণ কমে যায়, আর কমে যাওয়া কতটা ক্ষতিকর?


শরীরে বিভিন্ন রকমের খনিজ লবণ রয়েছে, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে যা খুবই প্রয়োজন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সোডিয়াম। আমরা যে লবণ ব্যবহার করি, সোডিয়াম তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সোডিয়াম আমাদের রক্তে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকে। অনেক সময় হঠাৎ কমে যেতে পারে এই সোডিয়াম, সেটিকেই আমরা সাধারণ ভাষায় লবণ কমে যাওয়া বলে থাকি। মেডিকেলের ভাষায় একে বলে ‘হাইপোন্যাট্রেমিয়া’।

রক্তের লবণ দেহের রক্তচাপ, তরলের ভারসাম্য, স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লবণ কমে গেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে মস্তিষ্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি।


কেন লবণ কমে যায়ঃ-

খুব বমি বা পাতলা পায়খানা হলে লবণ কমে যেতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ রকম সমস্যা বেশি হয়। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে লবণ কমে যায়। কিছু ওষুধ সেবন করলে শরীর থেকে লবণ-পানি বের হয়ে যায়। কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র বা যকৃতের কিছু রোগে শরীর যখন ঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন করতে পারে না, তখনো লবণের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। বিশেষ করে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন মস্তিষ্কে আঘাত, স্ট্রোক, টিউমার ইত্যাদিতে মস্তিষ্কের লবণ–পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী একটি বিশেষ হরমোন নিঃসরণে সমস্যা দেখা দিলেও লবণ কমে যেতে পারে।


লবণ কমে গেলে কী হয়ঃ-

লবণ কমে গেলে মস্তিষ্কের নিউরন বা কোষগুলোর জলীয় ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মাথাব্যথা, দুর্বলতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, চেতনা কমে যাওয়া, উল্টাপাল্টা আচরণ, এমনকি খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। বেশি কমে গেলে রোগী অজ্ঞান বা কোমায় চলে যেতে পারেন।


লবণ কমে গেলে কী করা উচিতঃ-

মনে রাখতে হবে, লবণ কমে যাওয়া একটি জরুরি মেডিকেল পরিস্থিতি। লবণ কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসক রক্তের ইলেকট্রোলাইটস পরীক্ষা করে লবণ কমে যাওয়া নিশ্চিত করেন এবং কত মাত্রায় কমে গেছে, সে অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করেন। লবণের মাত্রা দ্রুত পরিবর্তন হলে রোগীর মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ কারণে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা হাসপাতালের অধীন চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। খুব দ্রুত এটি আগের অবস্থায় আনা যাবে না, ধীরে ধীরে আনতে হবে। আবার মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রার ক্ষেত্রে চিকিৎসাপদ্ধতি ভিন্ন।

কিছু রোগীর যদি বারবার লবণের ঘাটতি দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার পাশাপাশি কারণ বের করাটাও জরুরি। লবণঘাটতির লক্ষণ দেখা দিলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে মুখে স্যালাইন খেতে হবে, ডায়রিয়া-বমির ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা স্যালাইন খেতে বা শিরায় নিতে শঙ্কাবোধ করেন। মনে রাখতে হবে, ডায়রিয়া বা বমি হলে যেকোনো রোগীকেই স্যালাইন খেতে হবে, নয়তো লবণ কমে যেতে পারে, এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

-সংগৃহীত ।

Friday, May 21, 2021

মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার কারন

মাইগ্রেনের বা মাথাব্যথার  যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী। মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে।  যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি তাদের বমি বমি ভাব, শরীরে এবং মুখে অস্বস্তিভাব দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা টানা বেশ কয়েকদিন থাকে। তাই যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।


১)  যারা অনেক বেশি চাপ নিয়ে একটানা কাজ করে চলেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না, তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবু চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিলাক্স হবে।    


২) আমরা যখন অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হতে থাকে। যার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।


৩) পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হলো- খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।


৪) অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে থাকে ।


৫)  মাত্র এক দিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পাড়ে। যেমন- যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমান, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়। 


৬)  অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে। প্রচণ্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দু’দিন টানা মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।


তবে অন্য কোন শারীরিক সমস্যার কারনেও মাইগ্রেনের ব্যাথা বা মাথা ব্যাথা হতে পারে তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী ।