সবারই উচিত হার্ট সুস্থ্য রাখার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার । হার্ট সুস্থ্য রাখতে যা যা করতে হবে:-
- সবসময় খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার যেমন: ভাত, আলু ইত্যাদি এবং চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। আমিষ জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে খেতে হবে।
- ধূমপান বা যেকোন নেশা পরিহার করতে হবে ।
- রক্তচাপ এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। বাড়তি ওজন হার্টের জন্য খুবই বিপদজনক ।
- শর্করা জাতীয় নয়, এমন খাবার (যেমন:- মাছ) খাওয়া হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী ।
- ত্রিশোর্ধ্ব সবারই উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা।
- অতিরিক্ত চিন্তা করা যাবে না । জীবনে সবারই সব কিছু নিখুঁত হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাই জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।
- অনিয়মিত খাদ্যাভাস মানু ষে র জাঙ্ক ফুডের দিকে ঠেলে দেয়। আর তখনই হজমের জন্য ব্যবহৃত এনজাইমগুলো দ্বিধায় পড়ে যায়। তাই নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খেতে হবে।
- জানেনকি জগিং করার চেয়ে হাঁটা ভালো। কারন জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।
- হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার হল ফল এবং সবজি জাতীয় খাবার। আর সবচেয়ে খারাপ হল তৈলাক্ত খাবার। যে কোনও তেলই শরীরের জন্য খারাপ।
- হার্ট অ্যাটাক হলে কি করবেন ? রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে এ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই একজন রোগীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।
- নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।
- ব্যায়াম করতে হবে; প্রতি সপ্তাহে অন্ত:ত পাঁচদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। সবসময় লিফটে না চড়ে মাঝে মাঝে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হবে। একটানা অধিক সময় বসে থাকা যাবে না ।
--------------------------
No comments:
Post a Comment