অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে
অধিক রক্তশূন্যতার জন্য রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান গঠন করে আয়রন । শরীরের রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয় আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে। আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ক্লান্তি। মহিলাদের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতার সমস্যা বেশি থাকলেও নারী-পুরুষ ভেদে সকলের আয়রন ঘাটতি হতে পারে। কারণ তখন শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে পারে না। পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন টিস্যু এবং পেশিতে পৌঁছায় না। শরীর ক্লান্তবোধ করে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এমন সমস্যায় অনেকের মুখ, মাড়ি, ঠোঁট, নিচের চোখের পাতা এবং নখও ফ্যাকাশে দেখায়। দীর্ঘদিন এ সমস্যার চিকিৎসা করা না হলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, হৃদরোগজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে। ত্বক-চুলের ক্ষতি রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। ত্বক, চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়া এবং নখ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করতে হবে ।
কিছু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হলঃ
* শিমের বিচি
* ডিম
* সয়াবিন
* গুড়
* পালং শাক
* ব্রোকলি
* কচু শাক
* লাল শাক।
এছাড়া গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি আয়রনের খুব ভালো উৎস।
ভিটামিন-সি বা অ্যাসকরবিক এসিড আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment