Health and Beauty

Friday, April 30, 2021

বিভিন্নরকম ইফতারের বাহার

সংগৃহীত

 

খেজুর

বিশ্বজুড়েই ইফতারে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার খেজুর। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।একদিকে মুসলমানদের জন্য পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত পবিত্র ফল, অন্যদিকে সারা দিনের রোজার শেষে পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর শরীরকেও দেয় জরুরি শক্তি।



জিলাপি

বিশ্বজুড়ে তো বটেই, তবে ভারতীয় উপমহাদেশে ইফতারে জিলাপির মতো জনপ্রিয় খাবার কমই আছে। নানা ঢঙে, নানা ধরনে, নানা উপকরণ দিয়ে ভিন্নতা আনার মাধ্যমে এক জিলাপির মধ্যেই আছে অনেক প্রকার, অনেক রকম স্বাদ। চিকন জিলাপি কি ঘন চিনির শিরার ডুবানো ভারী জিলাপি, ইফতার টেবিলে জিলাপি ছাড়া অন্তত বাঙালির তো চলেই না। ঢাকার রাস্তার মতো দিল্লির রাস্তায়ও দেখা মেলে জিলাপির দোকান। তাই ইফতারের মধ্যে জিলাপি এখন উপমহাদেশের বাইরেও পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।



ফলের সালাদ ও জুস

সারা দিনের ক্লান্তির শেষে রোজা ভাঙতে অনেকেই পছন্দ করেন ফলের জুসে। এটি দেহ ও মনকে দেয় প্রশান্তি, পাশাপাশি শরীরে জোগায় প্রয়োজনীয় শক্তি। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই ইফতার আয়োজনে ফল ও ফলের জুস স্থান পায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ডুমুর, কিউয়ির মতো ফলগুলো বেশি জনপ্রিয় হলেও উপমহাদেশে স্থানীয় ঋতুভিত্তিক ফলগুলোর জুসও কিন্তু যথেষ্ট পুষ্টিকর।



কুনাফা ও বাসবৌসা

মধ্যপ্রাচ্যে খুবই জনপ্রিয় এই মিষ্টি খাবারটি তৈরি হয় সেমাই ও ঘন দুধ বা মালাই সহযোগে। দেখতে অনেকটা কেকের মতো এ খাবার বিশ্বজুড়েই বেশ সমাদৃত। রমজানে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই এই খাবারের ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়। একইভাবে বাসবৌসাও একটি ডেজার্ট, যা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক হলেও পুরো পৃথিবীতে জনপ্রিয়। সুজি ও ঘন দুধের স্বাদের এই খাবারও ভীষণ জনপ্রিয়।




আঙুর পাতায় মোড়ানো ভাত

মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এ খাবারকে একেক দেশে একেক নামে ডাকা হলেও তৈরির প্রণালি মূলত একই। আঙুর পাতায় মসলা ও টমেটো পেঁয়াজ দিয়ে ভাজা ভাত মুড়িয়ে তৈরি করা হয় এ খাবার। ইরাক ও তুরস্কে দোলমা নামে পরিচিত হলেও সিরিয়াতে এ খাবারের নাম ইয়াবরা। প্রায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই এই পুষ্টিকর খাবার ইফতারের জন্য খুব জনপ্রিয়।



কোলাক

ইন্দোনেশিয়ার এই ডেজার্ট আইটেম দেখতে যেমন খুবই সুন্দর তেমনি খেতেও দারুণ। ঠান্ডা ও মিষ্টতায় ভরপুর এই খাবার তাই রমজানে হয়ে ওঠে ব্যাপক জনপ্রিয়। নারকেল দুধের সঙ্গে পাম সুগার আর এর সঙ্গে কলা, কমলা ও অন্যান্য মৌসুমি ফলের সহযোগে তৈরি এই খাবার এখন তাই ভোজন রসিকদের খুবই প্রিয়।



শাকশুকা

এ খাবার আফ্রিকা বিশেষত উত্তর আফ্রিকার দিকে বেশি জনপ্রিয় হলেও বর্তমানে সারা পৃথিবীতেই পেয়েছে ব্যাপক খ্যাতি। ডিম, সবজি ও কিমার মতো পুষ্টিকর খাবারের সমন্বয়ে তৈরি হওয়ায় এটি ইফতারের পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে পারে সহজেই। এর সঙ্গে পাউরুটি বা আরব স্টাইলের রুটি হলে এই খাবার একাই এক শ। বর্তমানে তাই আফ্রিকার সীমা পেরিয়ে সারা বিশ্বেই এই খাবারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা।



সংগৃহীত




Thursday, April 29, 2021

জরুরি ব্যবহারে রাশিয়ার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেল

ছবিঃ সংগৃহীত

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি  রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন  দিয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এখন রাশিয়ার করোনা টিকা আমদানি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর কোন আইনগত বাধা  নাই। এখন বাংলাদেশ টিকা কিনতে চাইলে রাশিয়া  আগামী মাস থেকে বাংলাদেশকে টিকা দিতে পারবে বলে সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ দেশেই উৎপাদনের জন্য মস্কো-ঢাকা সম্মত হয়েছে। চলছে চীনা ভ্যাকসিন আনার আলাপ-আলোচনাও। তিনি বলেন, দেশে টিকা উৎপাদন করতে রাশিয়ার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। কারণ আমরা চাইলে সেটা তৃতীয় দেশেও বিক্রি করতে পারব ।

Friday, April 23, 2021

করোনার টিকা চুরি



করোনার টিকা চুরি হয়ে গিয়েছিল । এটি বাংলাদেশে না এই ঘটনা ঘটে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের জিন্দো জেনারেল হাসপাতালে । 

জানা যায় জিন্দো জেনারেল হাসপাতালের  স্টোররুম থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল ১,৭০০ করোনা ভ্যাকসিন। ১,৭০০ ডোজ করোনার টিকা চুরি যাওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যটিতে। কিন্তু সব ভ্যাকসিনই আবার ফিরিয়ে দিল চোর। 

জিন্দো সিভিল লাইন্স থানার সামনে ১,৭০০ ভ্যাকসিন এবং একটি চিঠি রেখে যায় সেই চোর। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, জিন্দো সিভিল লাইন্স থানার সামনে থেকে ভ্যাকসিনগুলি উদ্ধার করা গেছে। ভ্যাকসিনগুলির সঙ্গে একটি চিঠিও পাওয়া যায়। 

চোরের লেখা ওই চিঠিটি হিন্দিতে লেখা। ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘দুঃখিত, আমি বুঝতে পারিনি যে এগুলি করোনার ভ্যাকসিন।’ 

জিন্দো সিভিল লাইন্স থানা এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরেদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। চোরের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছে পুলিশ কর্মকর্তারা। যদিও চুরি যাওয়া ভ্যাকসিন ফিরিয়ে দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিল এই চোর।

Sunday, April 11, 2021

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার প্রস্তুতি

রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম সাওম, বহুবচনে সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। বলতে গেলে সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করা ।  আবার সুশৃঙ্খল জীবন ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অপরিহার্য। 

বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগীই রোজা রাখতে পারেন এবং এতে তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা হয় না । 

তবে রমজান মাস শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু বিশেষ সতর্কতা, নিয়ম আর শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে । আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সহজে ও নিরাপদে রোজা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।

যেমনঃ

পূর্বপ্রস্তুতিঃ

ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্বপ্রস্তুতি।

  •  চিকিৎসক রোজার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়গুলো বাতলে দেবেন।
  •  দিন-রাত সুগার পরিমাপ করে ওষুধ সমন্বয়ের ব্যাপারে রোগী ও রোগীর পরিবার সবাইকে শিক্ষা প্রদান করবেন।
  •  হাইপো না হওয়ার জন্য খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের সমন্বয় করে দেবেন।
  •  প্রত্যেক রোগীর জন্য একই ব্যবস্থা প্রযোজ্য নয় বিধায় রোগীর অবস্থা অনুযায়ী আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • রোজার জন্য সব স্বাস্থ্যবিধি পালন করেও যদি স্বাস্থ্যহানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাদের রোজা না রাখাই উচিত। সে ক্ষেত্রে ফিদিয়া বা কাজা রাখার বিধান আছে।
  •  রমজানের আগে নফল রোজা রেখেও প্রস্তুতি নেওয়া ভালো।
  •  রমজানের ফরজ রোজা সঠিকভাবে আদায়ের জন্য রোজার আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়।


যারা রোজা রাখতে পারবেন নাঃ

  • রোজার সময় যেসব ডায়াবেটিক রোগীর ডায়রিয়া বা বমি হয়।
  • ব্রিটল ডায়াবেটিস রয়েছে যাঁদের। অর্থাৎ যে ডায়াবেটিসে রক্তে সুগারের মাত্রা খুব বেশি ওঠানামা করে।
  • যাঁদের অন্যান্য জটিল অসুখ, যেমন—কিডনি, হৃদরোগ বা কোনো ইনফেকশন ইত্যাদি রয়েছে।


ঝুঁকি কম যাদের:

  • যাঁরা মেটফরমিন, গ্লিটাজোনস কিংবা ইনক্রিটিন জাতীয় ওষুধ খান। তবে যাঁরা সালফোনাইলইউরিয়া ও ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাঁদের ঝুঁকি কিছুটা থাকে। ওষুধ ও ইনসুলিনের ধরন অনুযায়ী এর তারতম্য হয়।
  • যাঁরা শুধু খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেন।


ওষুধের ডোজ সমন্বয়ঃ

  • রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করা, এমনকি প্রয়োজন হলে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেওয়া যেতে পারে। ধর্ম বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। সুতরাং এসব নিয়ম মেনে ডায়াবেটিক রোজাদার রোজা রাখতে পারবেন। 
  • রমজানের আগে আগে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন। অন্য সময়ের তুলনায় সাধারণত এ সময় মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ কিছুটা কমিয়ে আনতে হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনবারের ওষুধ একবার বা দুইবারে পরিবর্তন করে আনুন।
  • যাঁরা দিনে এক বেলা ওষুধ খান, তাঁরা ইফতারের আগে পরিমাণে একটু কম খাবেন।
  • রমজানের আগে থেকে সকাল বা দুপুরের ওষুধ রাতে খাওয়ার অভ্যাস করুন। অর্থাৎ যাঁরা মুখে খাওয়ার ওষুধ খান তাঁরা সকালের ডোজটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের ডোজটি অর্ধেক পরিমাণে সাহরির আধাঘণ্টা আগে খাবেন।
  • ইনসুলিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অর্থাৎ সকালের ডোজটি ইফতারের আগে, রাতের ডোজটি কিছুটা কমিয়ে সাহরির আধাঘণ্টা আগে। কতটা কমাবেন তা চিকিৎসক বলে দেবেন।
  • দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করে এ রকম কিছু ইনসুলিন এখন বাজারে পাওয়া যায়। এসব ইনসুলিন দিনে একবার নিলেই হয়। এতে হঠাৎ সুগার কমে যাওয়ার ভয়ও কম থাকে। রোজার সময় মুখে খাওয়ার ওষুধের ক্ষেত্রে এ রকম দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করা ওষুধ ব্যবহার কিছুটা নিরাপদ।


নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন:

  • রোজার সময় রাতে, এমনকি দিনেও সুগার মাপুন; যাতে ওষুধের মাত্রা ঠিকভাবে সমন্বয় করা যায়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
  • সাহরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করুন। যদি সুগারের পরিমাণ কমে ৩.৯ মিলিমোল/লিটার হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।
  • রোজায় যদি সুগারের মাত্রা ১৬.৭ মিলিমোল/লিটার বা তার বেশি হয়, তাহলে প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে চামড়ার নিচে ইনসুলিন নেওয়া যেতে পারে।

গ্লুকোজের মাত্রা কমবেঃ

রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা হয়। সে কারণে দিনের শেষভাগে ডায়াবেটিক রোগীদের বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া অন্য যেকোনো অতিরিক্ত কাজ করলেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যেতে পারে। যেমন—

  • বরাদ্দের চেয়ে খাবার খুব কম খেলে বা খাবার খেতে ভুলে গেলে।
  • বড় ধরনের শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম
  •  অতিরিক্ত ইনসুলিন অথবা ট্যাবলেট গ্রহণ
  • ইনসুলিন ও সিরিঞ্জ একই মাপের না হল


হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণঃ

  • অসুস্থ বোধ করা                                        
  • খিদে বেশি পাওয়া
  • বুক ধড়ফড় করা                                       
  • ঘাম বেশি হওয়া
  • শরীর কাঁপতে থাকা          
  • শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
  • চোখ ঝাপসা হয়ে আসা                              
  • অস্বাভাবিক আচরণ করা
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া                                    
  • খিঁচুনি হওয়া ইত্যাদি।


হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয়:

  • হাইপোগ্লাইসেমিয়া একটি মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি। এটি ঘটলে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন :
  • রোজাদার ব্যক্তির হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে।
  • রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে চা চামচের ৪ থেকে ৬ চামচ গ্লকোজ বা চিনি এক গ্লাস পানিতে গুলে খাওয়াতে হবে। গ্লুকোজ বা চিনি না থাকলে যেকোনো খাবার সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে।
  •  রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে মুখে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা না করে গ্লুকোজ ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


হাইপোগ্লাইসেমিয়া থেকে রক্ষার উপায়

  • মানানসই সামঞ্জস্যসম্পন্ন এবং নিরাপদ খাদ্য ও ওষুধ গ্রহণ করুন।
  • কঠিন শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমের কাজ পরিহার করুন।
  • রোজার সময়ে দেরিতে ইফতার গ্রহণ করবেন না।


ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা যেসব জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেনঃ

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে  পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখলে বেশ কিছু জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন—

  • রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) 
  • রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসেমিয়া)
  • ডায়াবেটিক কিটো-অ্যাসিডোসিস
  • পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি।

Saturday, April 10, 2021

নোটারি পাবলিক কী এবং কেন করবেন?


  ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা দলিল কিংবা কাগজপত্রাদি সরকারিভাবে সত্যায়িত করাকেই নোটারি বা নোটারি পাবলিক বলা হয়।

আমাদের দেশে সাধারণত নোটারি পাবলিকের কাজ অনুমোদিত আইনজীবীরাই করে থাকেন। 
এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় নোটারিস অর্ডিন্যান্স এবং নোটারিস রুলস-১৯৬৪ দ্বারা। 

নোটারি পাবলিককে সংক্ষেপে নোটারি বলা হয়ে থাকে। নোটারি শব্দের মূল নামপদ ‘note’ এবং ‘ary’ অনুসর্গ নিয়ে গঠিত। শব্দটি এসেছে লাতিন ভাষার nota+arius থেকে, এর অর্থ শর্টহ্যান্ড লেখক, কেরানি ইত্যাদি।

কোনো দলিল বা কাগজকে নোটারি করা হলে ধরে নেওয়া হয় সেটি সঠিক। আর আইনগতভাবেও এর সুরক্ষা পাওয়া যায়। 

তবে ভুয়া নোটারির ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। যেন কোনো প্রতারণার ফাঁদে না পড়তে হয়।
 
নোটারি করতে যা যা লাগেঃ  
নোটারি পাবলিক করতে গেলে আইনজীবী আপনার মূল কাগজপত্র যাচাই করে দেখবেন। এরপর তিনি নিশ্চিত হলে তা সত্যায়িত করবেন।  মূল কাগজপত্র বলতে বোঝানো হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, চারিত্রিক সনদ ইত্যাদি। 

আর আপনি যদি বিয়ে, তালাক কিংবা হলফনামা তৈরি করতে চান তাহলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আপনার নোটারি করতে হবে।

নোটারি   কার্যালয়ঃ
নোটারি বিধিমালা (৬০ক) অনুযায়ী, একজন নোটারিয়ান বা যিনি নোটারি করে দেন তাঁর নির্দিষ্ট কার্যালয় থাকতে হবে। 
আর নোটারি করার সাইনবোর্ড কার্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও ঝোলানো যাবে না।
আদালতে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে কোনো কাগজপত্রাদি বা ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে হলে নোটারি  পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই নোটারি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে এই নোটারি বাধ্যতামূলক।

কি কি নোটারি করা হয়ঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যুর সনদপত্র, বিদেশ ইমিগ্রেশনের কাগজপত্র, জমি-জমা সংক্রান্ত,  দলিল দস্তাবেজ, হলফনামা, বিবাহ বিচ্ছেদ, গাড়ি বেচাকেনা, চারিত্রিক সনদপত্র ইত্যাদি বিষয়ে নোটারি পাবলিক দিয়ে সত্যায়িত বা প্রত্যায়িত করা হয়।

নোটারি করার খরচঃ
আমরা অনেকেই মনে করি নোটারি পাবলিক করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আসলে ধারণাটি ভুল।  সরকার নির্ধারিত ফি সত্যায়নের কাজে ১০ টাকা, আর যেকোনো স্ট্যাম্পে হলফনামা বা চুক্তির ক্ষেত্রে ২০-২৫ টাকা।

নোটারি কে করেনঃ
আইন পেশায় ৫ থেকে ৭ বছর নিয়োজিত আছেন অথবা বিচার বিভাগের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ৫ বছর নিয়োজিত  আছেন কিংবা সরকারের আইন প্রণয়ন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি নোটারি করে থাকেন। নোটারি বিধিমালা (৬০-ক) অনুযায়ী নোটারি পাবলিকের জন্য নির্দিষ্ট কার্যালয় থাকতে হবে। তবে নোটারি করার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক সময় ভুয়া নোটারিরা ফুটপাতে বা দোকানে বোর্ড টাঙিয়ে বসে থাকে।  এদের মাধ্যমে নোটারি করা হলে ভুয়া প্রমাণিত হতে পারে।