Friday, April 23, 2021

সারা দেশে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা

ছবিঃ সংগৃহীত

 

আগামী রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে শপিংমল ও দোকানপাট  খোলা । সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিং মল খোলা থাকবে। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।


প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।

করোনাভাইরাসের  সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। 

পরে লকডাউন আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। 

লকডাউনে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ-সংক্রান্ত অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে। প্রথমে ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দিলেও পরে তা আবার খোলার সিদ্ধান্ত হয়। আর শিল্পকারখানাগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু আছে।


সারা দেশে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে  গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে। লকডাউন  আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে ।


Sunday, April 11, 2021

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার প্রস্তুতি

রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম সাওম, বহুবচনে সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। বলতে গেলে সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করা ।  আবার সুশৃঙ্খল জীবন ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অপরিহার্য। 

বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগীই রোজা রাখতে পারেন এবং এতে তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা হয় না । 

তবে রমজান মাস শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু বিশেষ সতর্কতা, নিয়ম আর শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে । আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সহজে ও নিরাপদে রোজা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।

যেমনঃ

পূর্বপ্রস্তুতিঃ

ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্বপ্রস্তুতি।

  •  চিকিৎসক রোজার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়গুলো বাতলে দেবেন।
  •  দিন-রাত সুগার পরিমাপ করে ওষুধ সমন্বয়ের ব্যাপারে রোগী ও রোগীর পরিবার সবাইকে শিক্ষা প্রদান করবেন।
  •  হাইপো না হওয়ার জন্য খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের সমন্বয় করে দেবেন।
  •  প্রত্যেক রোগীর জন্য একই ব্যবস্থা প্রযোজ্য নয় বিধায় রোগীর অবস্থা অনুযায়ী আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • রোজার জন্য সব স্বাস্থ্যবিধি পালন করেও যদি স্বাস্থ্যহানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাদের রোজা না রাখাই উচিত। সে ক্ষেত্রে ফিদিয়া বা কাজা রাখার বিধান আছে।
  •  রমজানের আগে নফল রোজা রেখেও প্রস্তুতি নেওয়া ভালো।
  •  রমজানের ফরজ রোজা সঠিকভাবে আদায়ের জন্য রোজার আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়।


যারা রোজা রাখতে পারবেন নাঃ

  • রোজার সময় যেসব ডায়াবেটিক রোগীর ডায়রিয়া বা বমি হয়।
  • ব্রিটল ডায়াবেটিস রয়েছে যাঁদের। অর্থাৎ যে ডায়াবেটিসে রক্তে সুগারের মাত্রা খুব বেশি ওঠানামা করে।
  • যাঁদের অন্যান্য জটিল অসুখ, যেমন—কিডনি, হৃদরোগ বা কোনো ইনফেকশন ইত্যাদি রয়েছে।


ঝুঁকি কম যাদের:

  • যাঁরা মেটফরমিন, গ্লিটাজোনস কিংবা ইনক্রিটিন জাতীয় ওষুধ খান। তবে যাঁরা সালফোনাইলইউরিয়া ও ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাঁদের ঝুঁকি কিছুটা থাকে। ওষুধ ও ইনসুলিনের ধরন অনুযায়ী এর তারতম্য হয়।
  • যাঁরা শুধু খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেন।


ওষুধের ডোজ সমন্বয়ঃ

  • রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করা, এমনকি প্রয়োজন হলে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেওয়া যেতে পারে। ধর্ম বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। সুতরাং এসব নিয়ম মেনে ডায়াবেটিক রোজাদার রোজা রাখতে পারবেন। 
  • রমজানের আগে আগে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন। অন্য সময়ের তুলনায় সাধারণত এ সময় মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ কিছুটা কমিয়ে আনতে হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনবারের ওষুধ একবার বা দুইবারে পরিবর্তন করে আনুন।
  • যাঁরা দিনে এক বেলা ওষুধ খান, তাঁরা ইফতারের আগে পরিমাণে একটু কম খাবেন।
  • রমজানের আগে থেকে সকাল বা দুপুরের ওষুধ রাতে খাওয়ার অভ্যাস করুন। অর্থাৎ যাঁরা মুখে খাওয়ার ওষুধ খান তাঁরা সকালের ডোজটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের ডোজটি অর্ধেক পরিমাণে সাহরির আধাঘণ্টা আগে খাবেন।
  • ইনসুলিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অর্থাৎ সকালের ডোজটি ইফতারের আগে, রাতের ডোজটি কিছুটা কমিয়ে সাহরির আধাঘণ্টা আগে। কতটা কমাবেন তা চিকিৎসক বলে দেবেন।
  • দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করে এ রকম কিছু ইনসুলিন এখন বাজারে পাওয়া যায়। এসব ইনসুলিন দিনে একবার নিলেই হয়। এতে হঠাৎ সুগার কমে যাওয়ার ভয়ও কম থাকে। রোজার সময় মুখে খাওয়ার ওষুধের ক্ষেত্রে এ রকম দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করা ওষুধ ব্যবহার কিছুটা নিরাপদ।


নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন:

  • রোজার সময় রাতে, এমনকি দিনেও সুগার মাপুন; যাতে ওষুধের মাত্রা ঠিকভাবে সমন্বয় করা যায়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
  • সাহরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করুন। যদি সুগারের পরিমাণ কমে ৩.৯ মিলিমোল/লিটার হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।
  • রোজায় যদি সুগারের মাত্রা ১৬.৭ মিলিমোল/লিটার বা তার বেশি হয়, তাহলে প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে চামড়ার নিচে ইনসুলিন নেওয়া যেতে পারে।

গ্লুকোজের মাত্রা কমবেঃ

রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা হয়। সে কারণে দিনের শেষভাগে ডায়াবেটিক রোগীদের বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া অন্য যেকোনো অতিরিক্ত কাজ করলেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যেতে পারে। যেমন—

  • বরাদ্দের চেয়ে খাবার খুব কম খেলে বা খাবার খেতে ভুলে গেলে।
  • বড় ধরনের শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম
  •  অতিরিক্ত ইনসুলিন অথবা ট্যাবলেট গ্রহণ
  • ইনসুলিন ও সিরিঞ্জ একই মাপের না হল


হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণঃ

  • অসুস্থ বোধ করা                                        
  • খিদে বেশি পাওয়া
  • বুক ধড়ফড় করা                                       
  • ঘাম বেশি হওয়া
  • শরীর কাঁপতে থাকা          
  • শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
  • চোখ ঝাপসা হয়ে আসা                              
  • অস্বাভাবিক আচরণ করা
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া                                    
  • খিঁচুনি হওয়া ইত্যাদি।


হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয়:

  • হাইপোগ্লাইসেমিয়া একটি মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি। এটি ঘটলে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন :
  • রোজাদার ব্যক্তির হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে।
  • রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে চা চামচের ৪ থেকে ৬ চামচ গ্লকোজ বা চিনি এক গ্লাস পানিতে গুলে খাওয়াতে হবে। গ্লুকোজ বা চিনি না থাকলে যেকোনো খাবার সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে।
  •  রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে মুখে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা না করে গ্লুকোজ ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


হাইপোগ্লাইসেমিয়া থেকে রক্ষার উপায়

  • মানানসই সামঞ্জস্যসম্পন্ন এবং নিরাপদ খাদ্য ও ওষুধ গ্রহণ করুন।
  • কঠিন শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমের কাজ পরিহার করুন।
  • রোজার সময়ে দেরিতে ইফতার গ্রহণ করবেন না।


ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা যেসব জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেনঃ

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে  পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখলে বেশ কিছু জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন—

  • রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) 
  • রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসেমিয়া)
  • ডায়াবেটিক কিটো-অ্যাসিডোসিস
  • পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি।

Saturday, April 10, 2021

নোটারি পাবলিক কী এবং কেন করবেন?


  ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা দলিল কিংবা কাগজপত্রাদি সরকারিভাবে সত্যায়িত করাকেই নোটারি বা নোটারি পাবলিক বলা হয়।

আমাদের দেশে সাধারণত নোটারি পাবলিকের কাজ অনুমোদিত আইনজীবীরাই করে থাকেন। 
এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় নোটারিস অর্ডিন্যান্স এবং নোটারিস রুলস-১৯৬৪ দ্বারা। 

নোটারি পাবলিককে সংক্ষেপে নোটারি বলা হয়ে থাকে। নোটারি শব্দের মূল নামপদ ‘note’ এবং ‘ary’ অনুসর্গ নিয়ে গঠিত। শব্দটি এসেছে লাতিন ভাষার nota+arius থেকে, এর অর্থ শর্টহ্যান্ড লেখক, কেরানি ইত্যাদি।

কোনো দলিল বা কাগজকে নোটারি করা হলে ধরে নেওয়া হয় সেটি সঠিক। আর আইনগতভাবেও এর সুরক্ষা পাওয়া যায়। 

তবে ভুয়া নোটারির ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। যেন কোনো প্রতারণার ফাঁদে না পড়তে হয়।
 
নোটারি করতে যা যা লাগেঃ  
নোটারি পাবলিক করতে গেলে আইনজীবী আপনার মূল কাগজপত্র যাচাই করে দেখবেন। এরপর তিনি নিশ্চিত হলে তা সত্যায়িত করবেন।  মূল কাগজপত্র বলতে বোঝানো হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, চারিত্রিক সনদ ইত্যাদি। 

আর আপনি যদি বিয়ে, তালাক কিংবা হলফনামা তৈরি করতে চান তাহলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আপনার নোটারি করতে হবে।

নোটারি   কার্যালয়ঃ
নোটারি বিধিমালা (৬০ক) অনুযায়ী, একজন নোটারিয়ান বা যিনি নোটারি করে দেন তাঁর নির্দিষ্ট কার্যালয় থাকতে হবে। 
আর নোটারি করার সাইনবোর্ড কার্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও ঝোলানো যাবে না।
আদালতে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে কোনো কাগজপত্রাদি বা ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে হলে নোটারি  পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই নোটারি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে এই নোটারি বাধ্যতামূলক।

কি কি নোটারি করা হয়ঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যুর সনদপত্র, বিদেশ ইমিগ্রেশনের কাগজপত্র, জমি-জমা সংক্রান্ত,  দলিল দস্তাবেজ, হলফনামা, বিবাহ বিচ্ছেদ, গাড়ি বেচাকেনা, চারিত্রিক সনদপত্র ইত্যাদি বিষয়ে নোটারি পাবলিক দিয়ে সত্যায়িত বা প্রত্যায়িত করা হয়।

নোটারি করার খরচঃ
আমরা অনেকেই মনে করি নোটারি পাবলিক করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আসলে ধারণাটি ভুল।  সরকার নির্ধারিত ফি সত্যায়নের কাজে ১০ টাকা, আর যেকোনো স্ট্যাম্পে হলফনামা বা চুক্তির ক্ষেত্রে ২০-২৫ টাকা।

নোটারি কে করেনঃ
আইন পেশায় ৫ থেকে ৭ বছর নিয়োজিত আছেন অথবা বিচার বিভাগের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ৫ বছর নিয়োজিত  আছেন কিংবা সরকারের আইন প্রণয়ন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি নোটারি করে থাকেন। নোটারি বিধিমালা (৬০-ক) অনুযায়ী নোটারি পাবলিকের জন্য নির্দিষ্ট কার্যালয় থাকতে হবে। তবে নোটারি করার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক সময় ভুয়া নোটারিরা ফুটপাতে বা দোকানে বোর্ড টাঙিয়ে বসে থাকে।  এদের মাধ্যমে নোটারি করা হলে ভুয়া প্রমাণিত হতে পারে।


 

Friday, April 9, 2021

অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে

অধিক রক্তশূন্যতার জন্য রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান গঠন করে আয়রন । শরীরের  রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয় আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে। আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ক্লান্তি। মহিলাদের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতার সমস্যা বেশি থাকলেও নারী-পুরুষ ভেদে সকলের আয়রন ঘাটতি হতে পারে। কারণ তখন শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে পারে না।  পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন টিস্যু এবং পেশিতে পৌঁছায় না। শরীর ক্লান্তবোধ করে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এমন সমস্যায় অনেকের মুখ, মাড়ি, ঠোঁট, নিচের চোখের পাতা এবং নখও ফ্যাকাশে দেখায়। দীর্ঘদিন এ সমস্যার চিকিৎসা করা না হলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, হৃদরোগজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।  শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে। ত্বক-চুলের ক্ষতি রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। ত্বক, চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়া এবং নখ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করতে হবে । 
কিছু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হলঃ

* শিমের বিচি 
* ডিম 
* সয়াবিন 
* গুড়
* পালং শাক 
* ব্রোকলি 
* কচু শাক 
* লাল শাক।  
এছাড়া গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি আয়রনের খুব ভালো উৎস। 
ভিটামিন-সি বা অ্যাসকরবিক এসিড আয়রন শোষণে সাহায্য করে।

Sunday, October 25, 2020

Danger of sitting at the desk for hours

The danger is getting closer as a result of sitting at the desk for hours. Especially those who are forced to spend a lot of time sitting during the day, they may be more prone to Dormant Butt Syndrome. Sitting for more than eight hours is more likely to cause damage to the disc, neck, and back.
If the limbs do not get the necessary exercise, they gradually begin to weaken. In the same way, weakness begins to settle in the buttocks, an important part of your body. It is manifested in pain below the knee and waist.
Here are some tips to help you get started:
Cardiovascular complications:

Sitting in the same position for long periods of time can lead to high blood pressure and high cholesterol. These cardiovascular complications can put your life at risk.

Risk of diabetes
When a person sits for a long time, the body's muscle cells do not respond easily to the insulin produced. As a result, the pancreas produces more insulin, which can lead to diabetes.
Risk of muscle degeneration
Hyperlords, tight hips and lump glutes tend to grow in people who work long hours.
Foot problems
If the legs are hanging for a long time, the blood circulation in the legs is disrupted. Blood clots form in the veins, which can cause swelling of the legs.
Increased stress levels
Hormones that keep the mood right with muscle movement are supplied with blood and oxygen. Therefore, when a person sits for a long time, the muscle movement is not too much. As a result, the level of stress may increase.
Imbalance in the structure of the spine
Prolonged sitting can cause damage to the discs, including the spine, and shoulder pain.
Whenever a person has a postural problem, an X-ray or MRI scan needs to be done overnight first. Then it is advisable to exercise according to the rules or physiotherapy. 

Here are some more solutions to get rid of this problem .
  1.  If you do yoga in the morning and evening, you can get rid of this problem.
  2.  Walk at least once every hour for 5 minutes. As a result, blood circulation in the body will remain normal.
  3.  Stretch your body by extending your arms and legs every hour.
  4. When working, make sure your feet are level with the floor and sit with your back straight neck exercises
Sit up straight, then slowly place the head on one side of the shoulder, again on the opposite side in the same way. Doing the exercise for 5 minutes between work will not cause neck problems.